
কতরকমের ‘তেনাদের’ নাম, জানেন আপনি? ব্রহ্মদত্যি? মামদো? মেছো ভূত? শাকচুন্নি? পেতনি? নিশি? স্কন্ধকাটা? ডাইনি? আর কটা? অনেকেই হয়ত জানেন আরও অনেক নাম। কিন্তু এঁরা কোথায় থাকেন, কী করেন, কী ভাবে এঁদের উৎপত্তি, মানুষের কী উপকার বা অপকার করেন তাঁরা- এগুলো জানেন কি? ইচ্ছে করে না জানতে? নিশ্চয়ই ইচ্ছে করে। আর এটাও ঠিক, যাঁদের জানতে ইচ্ছা করে তাঁরা ভয় পান না ভূতে৷ আর তাঁদের কথা ভেবেই ‘জাস্ট স্টুডিও’র ‘জাস্ট স্পিরিটস’ বিভাগের ‘Seekers Of Souls’ টিমের নবতম সংযোজন ‘ভূত Files’। বিভিন্ন প্রজাতির ভূতেদের উদ্ভবের কারণ, কর্মসূচি, দুষ্টুমি, খামখেয়ালিপনা সব জানাতেই এই নতুন আয়োজন।

‘ভূত Files’- এ একে একে সকলের কাছে পরিচিত হবেন তেনারা। এক এক এপিসোডে হাজির থাকবেন এক একজন। জনগণ জানবেন তাঁদের কাণ্ড কারখানা। ইতিমধ্যেই হাজির প্রথম এপিসোড। এই এপিসোডে হাজির হয়েছেন ব্রহ্মদৈত্য মশাই। এই ব্রহ্মদৈত্য আসলে কে, কী ভাবে তাঁর উৎপত্তি- এই নিয়ে নানা মুনির নানা মত রয়েছে। কেউ বলেন কোনও ব্রাহ্মণ পুরুষ অপঘাতে মারা গেলে তিনি ব্রহ্মদৈত্য হয়ে যান।

আবার এমনও কথিত আছে, ব্রাহ্মণদের উপনয়নের পর কেউ যদি কোনওভাবে মারা যান তা হলেও তিনি ব্রহ্মদত্যিতে পরিণত হন। তবে, এক কথায় এঁরা ব্রাহ্মণ ভূত। তাই এঁরা সাত্বিক। এঁদেরকে পবিত্র ভূত হিসেবে গণ্য করা হয়। এঁরা বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন নিজেদের। বেলগাছ কিংবা শিমুল গাছে এঁদের বসবাস। চলনে বলনে বেশ আভিজাত্য রয়েছে এঁদের। ধুতি, পৈতা পরে পায়ে খরম চড়িয়ে গট গট করে হেঁটে চলেন। দেখলে মনে হবে কোনও অফিসের বড়বাবু! এঁরা এমনিতে ভাল কিন্তু চটিয়ে দিলে রক্ষে নেই। শাস্তি অবধারিত। আর তা থেকে রেহাই পাওয়াও বেশ কঠিন ব্যাপার। তাই তাঁকে চটিয়ে লাভ নেই। চলার পথে তাঁর দেখা মিললে হাসি বিনিময় করাই ভাল। উপকার মিলবে। অপকার নয়।
– নবনীতা দত্তগুপ্ত